ছবি সংগৃহীত
বিএনপির ত্রাণ তহবিলে এখনও প্রায় ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটির বেশি টাকা বিএনপির ত্রাণ কমিটি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি এবং হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন বন্যাকবলিত অঞ্চলে।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপির পাশাপাশি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রদলসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও দলের ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিয়েছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকে আমরা রিসিট দিয়েছি।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তিন নেতা দলের ত্রাণ তহবিলের ৩০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন, যেটা ভুল করে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের সেই ৩০ লাখ টাকা পে-অর্ডার করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছি, নৈতিকভাবে তাদের টাকা গ্রহণ করা ঠিক হবে না।
জাহিদ হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ ৫টি জেলায় ১৩৭ জন শহীদ হয়েছেন। তাদের তথ্যাদি আমাদের কাছে রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় যারা আহত হয়েছে তাদেরকেও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সারা দেশে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা মানুষের পাশে থেকেছি। বন্যাপরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্পও পরিচালনা করা হচ্ছে। মেডিকেল ক্যাম্পগুলোতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যার্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মধ্যে অনেকে দাঁড়িয়েছেন, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।
বন্যার কারণে যেসব এলাকায় মানুষের ফসলাদি ভেসে গিয়েছে, সেসব এলাকায় ধানি বীজসহ কৃষিপণ্য বিতরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় যাদের ঘর-বাড়ি ভেসে গিয়েছে তাদের টিন এবং ঘর মেরামতের সামগ্রী বিতরণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
শিশুদের মধ্যেও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
ত্রাণকার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে বিএনপির দুই জন ভেসে গিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।